25 Toxic Habits You Need Get Rid Improve Your Quality Life
আমরা সবাই সুন্দর সম্পর্ক, একটি সফল ক্যারিয়ার এবং আনন্দময় জীবন পেতে চাই। কিন্তু একরকম, এই সব জিনিস আমাদের এড়িয়ে যায়. আপনি কি জানেন আপনার বিষাক্ত অভ্যাস এর পিছনে কারণ হতে পারে?
যেকোন স্ব-উন্নতির যাত্রায়, আমরা ব্যায়াম করা, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা, বই পড়ার মতো ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই যে আমাদের জীবনে খুব একটা উন্নতি হয়নি।
আমরা এখনও একই ব্যর্থতা, নেতিবাচক চিন্তা এবং কম আত্মবিশ্বাস দ্বারা জর্জরিত.
তাই কি সমস্যা হতে পারে?
আমরা প্রায়শই বুঝতে পারি না যে আমাদের নেতিবাচক এবং বিষাক্ত অভ্যাসগুলির দ্বারা আমাদের ভাল অভ্যাস এবং রুটিনগুলি চুপচাপ ধ্বংস হয়ে যায়।
তাই যখন আমাদের ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলা অপরিহার্য, এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা বিষাক্ত অভ্যাসগুলিকে আমাদের আটকে রেখে পরিত্রাণ পেতে পারি।
একটি বিষাক্ত অভ্যাস মানে কি আমরা সত্যিই বুঝতে পারি না।
একটি বিষাক্ত অভ্যাস আপনার অজান্তে প্রভাবিত করে। এটি আপনার মানসিক পাশাপাশি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। ছেড়ে দেওয়া এবং এই বিষাক্ত অভ্যাসগুলি বাদ দেওয়া স্ব-গ্রহণযোগ্যতার এবং একটি ভাল জীবনযাপনের প্রথম পদক্ষেপ হবে।
25টি বিষাক্ত অভ্যাস যা আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পরিত্রাণ পেতে হবে
এই নিবন্ধে, আমরা কিছু পিন-পয়েন্ট করব উন্মাদনাপূর্ণ বিষাক্ত অভ্যাস যা আপনার জীবনকে উন্নত করার জন্য ধ্বংস করা উচিত .
1) সকালে আপনার ফোন পরীক্ষা করা প্রথম জিনিস
হ্যা আমি জানি. আমাদের সকলকেই এই গোপন ও বিষাক্ত অভ্যাসের জন্য দোষী হতে হবে।
কেন বিষাক্ত , আপনি ভাবতে পারেন?
আপনি যখন ঘুম থেকে উঠে আপনার ফোনটি সকালে প্রথম জিনিসটি পরীক্ষা করেন, তখন আপনি আপনার মানসিক শান্তি নষ্ট করে আপনার দিন শুরু করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট, ইমেল এবং করণীয় তালিকা শুধুমাত্র আপনার দিনের শুরুতে উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ বাড়ায়।
আপনি জেগে ওঠার সাথে সাথে আপনার ফোন চেক করার পরিবর্তে, আপনার দিন শুরু করা উচিত একটি ছোট প্রার্থনা বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে।
মাত্র কয়েক মিনিটের এই ব্যায়াম আপনাকে উত্পাদনশীলতার একটি বিশাল বৃদ্ধি দেবে।
এটি এক সপ্তাহের জন্য চেষ্টা করুন এবং আপনি দেখতে পাবেন যে এই ছোট পদক্ষেপে সারাদিন অনেক ইতিবাচক স্পিল-অফ রয়েছে।
মানে 222 এর পিছনে
2) অতিরিক্ত চিন্তা করা
একটি জিনিস, আমি আমার ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে সবচেয়ে বেশি চাপে-আউট ব্যক্তিদের বারবার অভিযোগ থাকে। তারা সবসময় বিলাপ করে যে তারা অনেক বেশি চিন্তা করে!
অনেকের মানসিক চাপের একটি বড় কারণ হল অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা।
ওভারথিঙ্কিং হল একটি বিষাক্ত অভ্যাস যেখানে একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতে ঘটতে চলেছে এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তা করে এবং অন্তহীন সম্ভাবনার একটি তালিকা তৈরি করে যা ঘটতে পারে বা যেগুলি ভুল হতে পারে।
এটি একটি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য কারণ আপনি প্রায়শই এমন কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেন যা ঘটতে পারে না।
এটি শুধুমাত্র আপনার সময় নষ্ট করে না বরং উদ্বেগের সমস্যা এবং মানসিক চাপও দেয় কারণ আপনি প্রতিটি পরিস্থিতিকে অতিরিক্ত চিন্তা করে ফেলেন।
আপনার অবশ্যই শান্ত থাকার চেষ্টা করা উচিত এবং সর্বদা একটি ইতিবাচক মানসিকতা থাকতে হবে।
অত্যধিক চিন্তাভাবনা প্রায়শই আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের সমস্যায় পরিণত হয়।
এটি উদ্বেগের দিকেও নিয়ে যায় যার ফলে ঘুম নষ্ট হয় এবং প্রচুর মানসিক চাপ পড়ে।
মেডিটেশন এবং ইতিবাচক নিশ্চিতকরণ যা অতিরিক্ত চিন্তা প্রতিরোধের সেরা উপায়গুলির কয়েকটি।
3) হারিয়ে যাওয়ার ভয় (FOMO)
FOMO হ'ল হারিয়ে যাওয়ার ভয়ের মুখের জন্য স্বল্প মেয়াদী।
এই পরিস্থিতি সাধারণ হয়ে উঠছে এবং আপনার জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট।
হারিয়ে যাওয়ার ভয়ের মানে হল যে আপনার অনুভূতি বা উপলব্ধি থাকবে যে অন্য লোকেরা আপনাকে ছাড়া মজা করছে। অথবা অন্যরা আপনাকে ছাড়া ভাল জীবন যাপন করছে।
এটি সবচেয়ে নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি এবং সবচেয়ে নেতিবাচক অভ্যাস যা আপনাকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে।
FOMO শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে ঈর্ষার অনুভূতি জাগায় না বরং বিভিন্ন লোকের আত্ম-সম্মানকেও কমিয়ে দেয়।
হারিয়ে যাওয়ার ভয় বিশেষভাবে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারের সাথে যুক্ত।
লোকেরা অন্যদের দিকে তাকায়, তাদের গল্পগুলি দেখে এবং অন্য লোকেরা যে জীবনযাপন করছে তা দেখে এবং নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে।
আপনার বোঝা উচিত যে সোশ্যাল মিডিয়াতে, আপনি প্রত্যেকের জীবনের একটি সুখী অংশ দেখতে পাচ্ছেন। আপনি তাদের সংগ্রাম, খারাপ দিন, আত্ম-সন্দেহ, বা ব্যর্থতা দেখেননি।
FOMO অসুখী অনুভূতি, অস্বাস্থ্যকর আচরণ এবং এমনকি বিভ্রান্তির সাথে যুক্ত হয়েছে।
আপনি অন্যদের আপনার লক্ষ্য এবং ফোকাস প্রভাবিত করতে দেবেন না.
তাই আপনি যদি FOMO এর জন্য দোষী হন তবে আপনার অবিলম্বে এই বিষাক্ত অভ্যাসটি ত্যাগ করা উচিত।
4) আপনার জীবনে বিষাক্ত মানুষ রাখা
একটি সুখী এবং সফল জীবন যাপন করার জন্য আপনার জন্য অপরিহার্য জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল বন্ধু এবং পরিবার দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়া যারা সত্যিকারভাবে আপনার যত্ন নেয়।
আপনার বন্ধুদের গুণমান আপনার বৈশিষ্ট্য, তাদের আচরণ এবং এমনকি তাদের চিন্তার প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে।
বয়সের সাথে সাথে, আপনি বাড়তে থাকেন এবং বুঝতে পারেন যে আপনার বন্ধুর সংখ্যা কোন ব্যাপার না, আপনার বন্ধুদের গুণমান গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার অবশ্যই এমন বন্ধু থাকতে হবে যারা সত্য এবং আপনার কাছে বিষাক্ত নয়।
আপনি যদি মনে করেন যে একজন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আপনাকে হতাশ করছে এবং সে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে নাশকতা করছে, তাহলে সময় এসেছে আপনার সেই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিষাক্ত অভ্যাস এবং অন্যান্য লোকেদের ছেড়ে দেওয়া কঠিন তবে একটি সফল জীবনযাপন করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই শান্তিতে থাকতে হবে এবং এমন লোকদের দ্বারা ঘিরে থাকতে হবে যারা প্রকৃতপক্ষে যত্নশীল।
অতএব, আপনি যদি বিষাক্ত লোকেদের দ্বারা বেষ্টিত হন তবে তাদের কেটে ফেলার সময় এসেছে।
5) অতীতকে যেতে দেবেন না
প্রত্যেকেরই একটি অতীত আছে, যাইহোক, কিছু লোক তাদের অতীত সম্পর্কে এতটাই আচ্ছন্ন যে তারা ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক নয়।
মানুষ মাত্রই ভুল করে. ভুল করা মানেই মানুষ হওয়া।
আপনি অতীতে যে ভুলগুলি করেছেন তা নিয়ে আপনার মনোনিবেশ করা এবং কান্নাকাটি করা উচিত নয়, বরং সেগুলি থেকে শেখার চেষ্টা করুন এবং সেগুলি পুনরাবৃত্তি করবেন না।
আপনি যদি অতীত সম্পর্কে আচ্ছন্ন হন তবে আপনি নিজেকে অতীত এবং অতীতে করা ভুলগুলিতে সীমাবদ্ধ করছেন।
অতীতের ক্ষত আপনার মনে দাগ কাটতে থাকবে এভাবে মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানাবে।
ভুল প্রত্যেকের দ্বারাই করা হয়, আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল পাঠ শিখতে এবং নিজেকে উন্নত করা।
আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি আপনার অতীতকে আঁকড়ে ধরে থাকেন, তবে এখনই সময় এসেছে যে আপনার ভুলটি নিয়ে কান্নাকাটি না করে এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
6) বিলম্ব
আমরা সবাই বিলম্ব সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন; এটিকে একটি কাজ বা কিছু যা করতে হবে তা বিলম্বিত বা স্থগিত করা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এটি একটি প্রধান এবং প্রধান বাধা যা একজন ব্যক্তিকে উঠতে এবং তাদের জীবনের সেরা করতে বাধা দেয়।
বিলম্ব হল একটি কাজ যতদিন সম্ভব স্থগিত করা বা স্থগিত করা।
তাই যখন আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে বিলম্বিত করতে চলেছেন যা সম্ভাব্যভাবে আমাদের জীবনকে আরও ভাল করার জন্য পরিবর্তন করতে পারে, আমরা আমাদের জীবনকে স্লিপ করতে দিচ্ছি।
একটি বিষাক্ত অভ্যাস যা অর্জনকারীদের ব্যর্থতা থেকে আলাদা করে তা হল বিলম্ব।
সফল ব্যক্তিরা বিলম্ব করেন না। তারা পূর্ণ শক্তি এবং আবেগ সঙ্গে করা প্রয়োজন যে কাজ সঙ্গে পেতে.
অন্যদিকে, আন্ডারচিভাররা, তাদের সময় দূরে রেখে অকেজো কার্যকলাপে তাদের সময় পূরণ করে কাজ স্থগিত করে চলেছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আপনি জানেন যে কাজটি আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি এখনও অনেক কারণে অস্বস্তিকর.
কারণগুলির মধ্যে একটি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী দিকে তাকাতে ব্যর্থতা এবং পরিবর্তে অবলম্বন করা তাত্ক্ষণিক পরিতৃপ্তি .
বিলম্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার অনেক উপায় রয়েছে যেমন কাজগুলিকে আরও অর্জনযোগ্য করে তোলা।
বিলম্বকে হারানোর আরেকটি দুর্দান্ত উপায় হ'ল আপনার চারপাশকে এমন জিনিসগুলি সরিয়ে ফেলার জন্য ডিজাইন করা যা বিলম্বে সহায়তা করে।
আপনি কি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে অবিরাম সার্ফিংয়ে আপনার সময় নষ্ট করেন? ফোনে অ্যাপস মুছে দিন।
আপনি কি Netflix-এ দ্ব্যর্থহীনভাবে দেখার মধ্যে লিপ্ত হন? Netflix থেকে সদস্যতা ত্যাগ করুন!
এই সহজ সমাধানগুলি আপনাকে বিলম্বিত দানবকে খুব সহজেই পরাস্ত করতে সাহায্য করতে পারে!
7) না বলতে সক্ষম না হওয়া
আপনি কি অন্যদের কাছ থেকে অযৌক্তিক অনুরোধ বা দাবি না বলতে অক্ষম?
এটি এমন একটি সমস্যা যা অনেক লোকই সম্বোধন করে না।
আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন যারা কেবল না বলতে অক্ষম হন তবে পড়ুন।
বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সহকর্মীরা প্রায়ই কিছু অনুগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসা করে বা এমন কিছু অনুরোধ করে যা আপনার সময়, অর্থ বা প্রচেষ্টা ব্যয় করতে পারে।
যদিও, অন্যদের সাহায্য করা ভাল, আপনি কখন হ্যাঁ বলবেন সে সম্পর্কে আপনি বেছে নিচ্ছেন।
আসলে, আপনার হ্যাঁ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে শেখা উচিত।
হ্যাঁ বলা, প্রতিটি অনুরোধ এবং চাহিদা আপনার জন্য কিছু করার শক্তি এবং ইচ্ছাশক্তি বন্ধ করে দেবে।
সম্পর্ক হোক বা কর্মজীবন, আপনার সুখ এবং লক্ষ্যগুলি আপনাকে এড়িয়ে যাবে যদি আপনি অযৌক্তিক দাবিকে না বলতে না শিখেন।
27 নম্বরের অর্থ
চিন্তা করবেন না যে আপনার প্রত্যাখ্যানে অন্যরা বিরক্ত হতে পারে। যদি তারা সত্যিই আপনার বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী হয়, তারা আপনার সিদ্ধান্তকে সম্মান করবে।
শুধু অন্যদের খুশি করার জন্য বা সহকর্মীদের চাপের কারণে হ্যাঁ বলবেন না। নিজেকে এবং আপনার স্বার্থের জন্য দেখুন.
একটু মজা করা বা অন্যদের সাহায্য করা কখনই ভুল নয় তবে কখন একমত হতে হবে এবং অসম্মতি জানাতে গিয়ে তার পার্থক্য খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন। আপনার যদি আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে তবে না বলতে শিখুন।
8) আত্ম-সন্দেহ
আপনি কি সবসময় মনে করেন যে আপনি একটি সফল ক্যারিয়ার বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না?
তার মানে আপনি ভুগছেন আত্ম-সন্দেহ .
আপনি যদি আপনার ভালো বন্ধু, মা, একটি মেয়ে বা এমনকি একজন ভালো কর্মী হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করেন তবে এটি নিশ্চিত যে আপনি আপনার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করছেন।
আত্ম-সন্দেহ দুটি উপায়ে সমস্যাযুক্ত। হয়, আপনি কোনও কাজ শুরু করবেন না কারণ আপনি এটি সম্পূর্ণ করার আপনার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করছেন বা আপনি কাজটি নাশকতা করবেন কারণ আপনি নিশ্চিত হয়েছেন যে আপনি কাজটি সম্পূর্ণ করতে অক্ষম।
আপনি এটি করতে সক্ষম হবেন না যতক্ষণ না আপনি চেষ্টা করবেন এবং আপনার সেরা শট দেবেন না।
ক্রমাগত চেষ্টা করা এবং নিজের উপর বিশ্বাস বিস্ময়কর ফলাফল হতে পারে।
আপনাকে অবশ্যই সর্বদা আপনার ক্ষমতা এবং দক্ষতার উপর আস্থা রাখতে হবে এবং সম্পূর্ণ দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।
9) নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করা
নিজেকে দুঃখী করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল অন্যের সাথে নিজেদের তুলনা করা।
তুলনা করার কাজটি অচেনা। আর অন্যের সাথে নিজেদের তুলনা করা আরও বড় পাপ।
প্রতিটি মানুষ অনন্য। প্রতিটি ব্যক্তির আলাদা দক্ষতা, মানসিকতা এবং মনোভাব থাকে।
আপনার জীবন আপনার করা এই সমস্ত জিনিস এবং পছন্দের যোগফল।
আপনি যখন আপনার জীবনকে অন্যের সাথে তুলনা করতে শুরু করেন, তখন সবকিছুই প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়।
এমনকি থিওডোর রুজভেল্টও বলেছেন, তুলনা আনন্দের চোর।
এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে কাউকে জিততে হয় আবার কাউকে হারতে হয়।
আপনি যদি মনে করেন যে অন্যরা আপনার চেয়ে সুখী, ধনী, স্মার্ট এবং সুন্দর তবে আমি আপনাকে একটি গোপন কথা বলব!
সবাই একই রকম মনে করে (কিছু পরিমাণে)!
সুতরাং, তুলনা দিয়ে নিজেকে বিরক্ত করবেন না।
আপনার শক্তি এবং ফোকাস নিষ্কাশন করবেন না এবং পরিবর্তে আপনার লক্ষ্যগুলিতে কাজ করুন।
10) নিজের সমালোচনা করা
এটি আপনার আত্মা এবং মনের জন্য একটি অত্যন্ত ক্ষয়কারী অভ্যাস!
আপনি যদি ক্রমাগত নিজের ত্রুটি, ব্যর্থতা বা ভুলের জন্য নিজেকে সমালোচনা করেন তবে আপনি দুঃখে ভরা জীবনের জন্য সেট আপ করছেন।
যদিও আপনার শক্তি এবং দুর্বলতাগুলির স্ব-মূল্যায়ন ভাল কিন্তু ক্রমাগত সমালোচনা আপনাকে মানসিকভাবে ভঙ্গুর করে তুলতে পারে
ক্রমাগত সমালোচনা একটি স্ব-পরিপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীর একটি চক্র শুরু করে যেখানে আপনি আপনার জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন।
প্রতিটি নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য নিজেকে দোষারোপ করবেন না।
আপনি যদি কিছুতে ব্যর্থ হন তবে আপনার সম্পূর্ণ নিজেকে দোষারোপ করবেন না। আপনি শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।
এটি সামগ্রিকভাবে আপনার চরিত্রের প্রতিফলন নয়।
নিজের প্রতি সদয় হোন!
নিজেকে বিরক্ত করবেন না।
নিজের সাথে কথা বলুন যেমন আপনি আপনার প্রিয় কারো সাথে কথা বলবেন এবং উত্সাহিত করতে চান।
11) অন্যদের অপমান করা
আপনি কি বিশেষ করে আপনার কাছের লোকেদের অপমান করার জন্য দোষী?
অপমান, অপমানজনক মন্তব্য এবং নির্দয় কৌতুক অন্যদের আত্মাকে চূর্ণ করে এবং আমাদের জীবনে বিষাক্ততা নিয়ে আসে।
আপনি যদি অন্যদের অপমান করার প্রবণ হন তবে আপনার চিন্তাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে দেখুন। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার চিন্তাভাবনা নেতিবাচক।
অন্যকে আঘাত করার এবং মেরামতের বাইরে আপনার সম্পর্ক নষ্ট করার আগে নিজেকে পরীক্ষা করুন।
12) অন্যদের সম্পর্কে পরচর্চা
গসিপ ছড়ানো একটি বিষাক্ত আচরণ যা আমরা না বুঝেও করি। গসিপিং শুধুমাত্র অন্যের খ্যাতির জন্যই ক্ষতিকর নয়, আমাদের নিজের জন্যও ক্ষতিকর।
একজন পরচর্চাকারীকে কখনই অন্যরা বিশ্বাস করে না।
13) গ্যাসলাইটিং
গ্যাসলাইটিং হল অন্য ব্যক্তির মনে সন্দেহ সৃষ্টি করার একটি কাজ যা সেই ব্যক্তির বাস্তবতা, বিচক্ষণতা বা স্মৃতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতন যা অগণিত সম্পর্ককে নষ্ট করেছে।
14) দুঃখিত না বলা
আপনি কি আপনার ভুল স্বীকার করতে এবং ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন?
সম্পর্ক বা অন্যদের সাহায্য করার চেয়ে বেশি, দুঃখিত বলা আপনার জন্য ভাল .
ক্ষমা চাওয়া একটি সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং চাপ কমায় যা আপনার মধ্যে তিক্ততা দূর করতে সাহায্য করে।
ক্ষমা চাওয়া অন্যদেরও জানাতে পারে যে আপনি ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি আচরণটি পুনরাবৃত্তি করবেন না।
15) ক্ষোভ ধরে রাখা
এটা যথেষ্ট নয় যে আপনি ক্ষমা চান। কখনও কখনও, ক্ষমা করা এবং ভুলে যাওয়াও প্রয়োজন।
যদি অন্য ব্যক্তি ক্ষমা চেয়ে থাকে তবে আপনার ক্ষমা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র সম্পর্ক রক্ষা করা নিশ্চিত করবে না কিন্তু আপনার নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
16) মিথ্যা বলা
যদিও মিথ্যা বলা কখনও কখনও প্রয়োজনীয় কিন্তু এটি একটি অভ্যাস করা খুব সমস্যাযুক্ত হতে পারে।
ক্রমাগত মিথ্যা বলা আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্তৃত্ব নষ্ট করতে পারে।
অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বাস একটি সফল সম্পর্কের ভিত্তি। মিথ্যা বলার একটি অভ্যাস এই ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে।
17) ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল
আপনি যদি আপনার দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আবেগগতভাবে অন্যদের ব্ল্যাকমেইল করেন তবে এটি একটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণ।
মানুষ আবেগপ্রবণ ব্ল্যাকমেইলারদের থেকে বিরক্ত এবং দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা রাখে।
18) অন্যদের দোষারোপ করুন
আপনার ব্যর্থতা এবং হতাশার জন্য অন্যদের উপর দোষ চাপানো আমাদের মধ্যে একটি খুব স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
আসল বিষয়টি হল আপনি নিজের জন্য একমাত্র দায়ী।
বক আপনার কাছে থামে!
19) অন্যদের বিচার করা
অন্যদের বিচার করা খুব সহজ। অন্যদের বিচার করা অন্যকে সংজ্ঞায়িত করে না বরং আপনাকে সংজ্ঞায়িত করে।
আপনি আপনার নিজের মান এবং পরিস্থিতি দ্বারা অন্যদের বিচার করেন যা সঠিক নাও হতে পারে।
প্রত্যেকের জীবন সম্পর্কে আলাদা আলাদা ধারণা রয়েছে। প্রত্যেকে ভিন্নভাবে আচরণ করে এবং প্রতিক্রিয়া জানায়।
তাই অন্যদের কাজ বা আচরণ দ্বারা বিচার করার পরিবর্তে, মূল কারণটি বোঝার চেষ্টা করুন এবং আরও সহানুভূতিশীল হন।
এটি সেই বিষাক্ত অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি যা আমাদের অন্যদের চেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।
20) পরিপূর্ণতা অন্বেষণ
আপনি একটি পরিপূর্ণতাবাদী?
আপনার সাফল্যের পথে কিছু ব্যর্থতার জন্য নিজেকে পরাজিত করবেন না।
প্রতিবার বা এমনকি বেশিরভাগ সময়ই কেউ এটি সঠিকভাবে পায় না!
কি ব্যাপার কর্ম!
পরিপূর্ণতা খোঁজা প্রায়ই আপনাকে অগ্রগতি থেকে বিরত করতে পারে।
অ-পরিপূর্ণতা আলিঙ্গন.
আপনার নাচের সর্বদা উন্নতির জন্য একটি জায়গা থাকবে তবে সেই সত্যটি আপনাকে নাচ উপভোগ করা থেকে বিরত করবে না।
আপনার সফ্টওয়্যারটিতে কিছু বাগ থাকবে এবং আরও বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হবে, তবে আপনার এটিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।
90 বছর বয়সী জন্য উপহার
গল্পের নৈতিকতা আপনার জীবনের প্রতিটি দিকের জন্য একই, তা ব্যক্তিগত বা পেশাদার হোক।
21) অন্যদের কাছ থেকে বৈধতা চাওয়া
আপনার আচরণ, কর্ম এবং অর্জন সম্পর্কে অন্যদের কাছ থেকে বৈধতা, স্বীকৃতি এবং গ্রহণযোগ্যতা চাওয়া খুবই স্বাভাবিক।
এইভাবে আপনি সমাজ থেকে প্রতিক্রিয়া পাবেন। এই প্রতিক্রিয়া থেকে আপনি নিজেকে সংশোধন বা উন্নত করুন।
কিন্তু আপনার নিজের স্ব-প্রমাণ উপেক্ষা করে ক্রমাগত অন্যদের কাছ থেকে বৈধতা খোঁজা একটি বিষাক্ত অভ্যাস।
আপনি যদি অন্যদের গ্রহণযোগ্যতা এবং অনুমোদনকে আপনার নিজের মতামত এবং রায়ের চেয়ে অনেক উচ্চ স্তরে রাখেন তবে অভ্যাসটি আপনার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ার আগমনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সমস্ত বিষাক্ত অভ্যাসের মধ্যে, অন্যদের কাছ থেকে বৈধতা চাওয়া আধুনিক সময়ে সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।
সুতরাং, অন্যের কাছ থেকে বৈধতা চাওয়া বন্ধ করুন এবং নিজেকে গ্রহণ করুন।
22) সীমানাকে সম্মান না করা
সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বিষাক্ত অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি হল অন্যের সীমানাকে সম্মান না করা।
প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্য মানুষের সীমানাকে স্বীকৃতি দেওয়া, বোঝা এবং সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যের সীমানাকে সম্মান না করা বা মনোযোগ না দেওয়া আপনার সম্পর্কের মধ্যে ঘর্ষণ এবং বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে।
23) শুধুমাত্র নিজের সম্পর্কে কথা বলা
বন্ধু হারানোর সবচেয়ে সহজ উপায় জানতে চান? প্রতিনিয়ত নিজের কথা বলে।
আপনি যদি কেবল নিজের সম্পর্কে কথা বলেন তবে আপনি একজন নার্সিসিস্ট হিসাবে ঘোষণা করার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
যদিও আপনি একজন নার্সিসিস্ট নাও হতে পারেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা আত্মমগ্ন বলে মনে হয় তারা বিষণ্নতা, উদ্বেগ, চাপ এবং রাগের প্রবণতা বেশি। .
অন্যদের কথা বলতে না দেওয়া এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আগ্রহী না হওয়াও একটি অবিশ্বাস্যভাবে দুর্বল সামাজিক শিষ্টাচার এবং সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষাক্ত অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি।
24) অযাচিত পরামর্শ দেওয়া
আমি এর জন্য দোষী ছিলাম যতক্ষণ না আমি বুঝতে পারি যে প্রাপ্তির প্রান্তের লোকেরা এটিকে খুব বেশি সদয়ভাবে নেয় না।
যদিও, আমার ভালো উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ ভেবেছিল আমি তাদের জীবনে হস্তক্ষেপ করছি।
অযাচিত উপদেশ দেওয়া একজনের হতে পারে সবচেয়ে নিরীহ বিষাক্ত অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি।
আপনি যদি না চাওয়া ছাড়াই উপদেশ দেন তাহলে অবিলম্বে তা বন্ধ করুন।
25) একটি নিয়ন্ত্রণ ফ্রিক হচ্ছে
আমরা কি এমন কাউকে চিনি না যে একজন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাগল এবং চায় যে সমস্ত কিছু ঘটুক এবং প্রত্যেককে তার নিজের ইচ্ছা ও ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করুক।
আপনিও যদি কন্ট্রোল ফ্রিক হন, তাহলে এর মানে হল যে আপনিও একজন পারফেকশনিস্ট যা নিজের সেটের সমস্যা নিয়ে আসে।
সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা আপনার বন্ধু এবং সহকর্মীদের শ্বাসরোধ করে নেতিবাচক আবেগের দিকে নিয়ে যায়।
